|
|
যখন হোয়াইট হাউসের থেকে পাঠানো দূতেরা ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি খুবই কড়া ভাষায় একে অপরের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা নিয়ে চুক্তির বিষয়ে সময় ও শর্ত নিয়ে আলোচনায় মত্ত, তখনই বিশেষজ্ঞরা অনুমান করতে বসেছেন যে, কি করে এই দরাদরি আফগানিস্তানের অন্যান্য জীবন যাপনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে.
কাবুলে কিছু বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, আফগানিস্তানের লোকদের এই চুক্তির একেবারেই কোন দরকার নেই, কারণ দেখাই যাচ্ছে যে, আমেরিকার লোকরা আফগানিস্তানকে কিছুই দেয় নি, শুধুমাত্র সেই দেশে মাদক দ্রব্য উত্পাদনের বিষয়ে তুমুল পরিমাণে অগ্রগতি ছাড়া. আরও একদল মনে করেছেন যে, এই চুক্তির আবার কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে, যা ব্যবহার করা দরকার.
আফগানিস্তানের পার্লামেন্ট জির্গা অধিবেশনে অংশ নেওয়া সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করার স্বপক্ষে মত দিয়েছেন ও তাঁরা আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইকে ২০১৩ সাল শেষ হওয়ার আগেই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য. কারজাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নিজের পক্ষ থেকে শর্ত দিয়েছেন. তার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে দেশে উন্মুক্ত নির্বাচন বাস্তবায়নে সহায়তা করা ও আফগানিস্তানের ঘর বাড়ীতে হানা দেওয়া বন্ধ রেখে, তালিবদের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি করা.
তথাকথিত “সমস্যামালা – ২০১৪” – অর্থাত্ আফগানিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক জোটের সেনা প্রত্যাহারের অপেক্ষায় থেকে বিশেষজ্ঞরা আপাততঃ সবচেয়ে মূল প্রশ্নের বিষয়ে এখনও একমত হতে পারেন নি. আর সেটা হল: যদি আফগানিস্তানে শাসন ব্যবস্থাই অস্থিতিশীল হয়ে দাঁড়ায়, তবে কতখানি সম্ভাবনা রয়েছে যে, “তালিবান” ও অন্যান্য চরমপন্থী গোষ্ঠীরা উত্তরের দিকে রওয়ানা দেবে? কিন্তু যদি এটা ঘটে, তবে সেই প্রসারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে একমাত্র যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি সংস্থা.