|
|
শুধুমাত্র মানুষের মধ্যেই রাখাঢাকা থাকে না, স্মৃতিসৌধদেরও থাকে নিজস্ব রহস্য. রুশী স্থাপত্যশিল্পের অন্যতম সেরা ও জাজ্বল্যমান নিদর্শণ হচ্ছে মস্কোর রেড স্কোয়ারের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত তদ্গত ভাসিলি ক্যাথেড্রাল. এই ক্যাথেড্রালটির নির্মাণ ও তার অস্তিত্ব বজায় রাখা প্রচুর লোকগাথা ও রহস্যের অবগুন্ঠণে ঢাকা. দীর্ঘকাল যাবত্ ঐ ক্যাথেড্রালের প্রধান স্থপতির নামই অজানা ছিল, নাম জানা যাওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত তার পরবর্তী জীবন সম্পর্কে কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি.
শীতল যুদ্ধের কয়েক দশক ধরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে অনমনীয় লৌহ প্রাচীরের আড়ালে. ঐ দেশে অসংখ্য নিষিদ্ধ জায়গা ছিল. সোভিয়েত ইউনিয়ন ধ্বসে পড়ার পরে আকস্মিক মুক্তির হাওয়ায় মাতাল সমাজ সব গুপ্ত তথ্য ফাঁস করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল. প্রাচীণ চৈনিক দার্শনিক লাও-জী বলেছিলেন, যে “প্রাজ্ঞ ব্যক্তি সবরকম চরমপন্থা এড়িয়ে চলে”. কিন্তু তুমুল পরিবর্তনের যুগে চরমপন্থা পুরোপুরি বর্জন করা সম্ভব হয় নাঃ কৃত্রিমতার মুখোশ খুলে দিতে গিয়ে সাংবাদিকরা তখন প্রায়ই বাড়াবাড়ি করে ফেলতো, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করার নাম করে তারা তখন কল্পনাপ্রসূত বৃত্তান্তাবলীকে অমোঘ সত্য বলে প্রচার করেছিল.