নতুন বছরের সঙ্গে সাক্ষাত্কারের জন্য খুব কম সময়ই আছে, রাশিয়ার লোকেরা অধীর আগ্রহে মুহূর্ত গুনছে. লেভ নিকোলায়েভিচ তলস্তয়ের বাড়ী ও যাদুঘর ইয়াসনায়া পলিয়ানা তে তার জন্য তৈরী হওয়া শুরু হয়ে গেছে. সেখানে এই বার পঞ্চম বারের মত দেশের ফার গাছ সাজানো খেলনার ইতিহাস নিয়ে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে. এই খেলনা গুলি তুলা অঞ্চলের লোকেরা তাঁদের সংগ্রহ থেকে দিয়েছেন. এর মধ্যে অনেক গুলিই প্রায় তিরিশ বছরের পুরনো. আমাদের তুলা অঞ্চলের সাংবাদিক আনাতোলি মিখাইলুশকিন এই খবর দিয়েছেন.
অনেক আগে থেকেই ফার গাছ খেলনা দিয়ে সাজানো শুরু হয়েছিল. বিশ্বাস ছিল যে, গাছে যে আত্মা থাকে তার উপর মানুষের ভবিষ্যত আর ফসলের পরিমান নির্ভর করে. তাই এই আত্মাদের নানা রকমের খেলনা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর চল ছিল. তাই নববর্ষের প্রধান যে প্রতীক তা ছিল এবং এখনও আছে খেলনা দিয়ে সাজানো ফার গাছ. ফার গাছ সাজানোর খেলনা প্রায় প্রতি পরিবারেই জমা হয়ে থাকে, আর বংশ পরম্পরায় তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে. প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা ইরিনা আফোনিনা বলেছেনঃ
"গত শতকের ষাটের দশকেই রাশিয়াতে বড় করে ফার গাছের খেলনা তৈরী করা শুরু হয়েছিল. তার আগে সবাই বাড়ীতেই নিজেদের মত করে খেলনা বানিয়ে নিত. আর প্রত্যেকটি খেলনার আলাদা করে চরিত্র ছিল. প্রথমবার প্রদর্শনীর আগে তুলার লোকেরা যাদুঘরে নিয়ে এসেছিল প্রায় তিনশ রকমের খেলনা, যা তার আগে থেকে ইয়াসনায়া পলিয়ানা তে রাখা খেলনার সংগ্রহের সঙ্গে যোগ করা গিয়েছিল. প্রদর্শনীর সেরা হয়েছিল তুলা শহরের চেবুকিন পরিবারের ঐতিহাসিক খেলনা. কাগজের মন্ড দিয়ে তৈরী উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুর সময়ের ঘোড়া, কাঠ বিড়ালী ও খরগোসের পুতুল. এই পরিবারের লোকেদের কাছে এই খেলনা গুলি ছিল অনেক আধুনিক পুতুলের চেয়েও দামী, কারণ তা পরিবারে বংশ পরম্পরায় পাওয়া. এই রকমের খেলনা শুধু রাশিয়াতেই নয়, এমনকি সারা পৃথিবীতেই খুবই কম আছে".
